কম্পিউটারের কিছু সমস্যা এবং সমাধান [By: Shuvodip Das]
সমস্যা: আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল ডুয়াল কোর ৩.২ গিগাহার্টজ, মাদারবোর্ড গিগাবাইট জি ৪১, ২ গিগাবাইট ডিডিআর ২ র্যাম ও ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। পিসি কাজ করার সময় হঠাৎ করেই হ্যাং করে। গেম খেলার সময় অনেক বেশিসংখ্যক বার হ্যাং করে। এ সমস্যা দূর করার জন্য আমি উইন্ডোজ নতুন করে ইনস্টল দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ভাইরাস আছে কিনা, তা দেখার জন্য নতুন ক্যাসপারস্কি ২০১২ ইন্টারনেট সিকিউরিটি কিনে তা দিয়ে পুরো হার্ডডিস্ক স্ক্যান করেছি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। দয়া করে আমার সমস্যার সমাধান দ্রম্নত জানালে বেশ উপকৃত হব।
সমাধান: পিসিতে সফটওয়্যারজনিত সমস্যা নেই বলে মনে হচ্ছে। র্যাম স্লটে র্যাম ঠিকমতো না বসলে বা কিছুটা ঢিলা হয়ে গেলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি দুটি র্যাম স্লটে আলাদা বাসস্পিডের র্যাম লাগানো হয়, সেক্ষেত্রেও এ সমস্যা হতে পারে। র্যাম স্লট থেকে র্যাম খুলে তা আবার ভালোমতো স্লটে লাগিয়ে নিন। যদি আলাদা বাসস্পিডের দুটি র্যাম ব্যবহার করে থাকেন, তবে তা বদল করে একই বাসস্পিডের র্যাম কিনুন। র্যাম স্লটে ময়লা থাকলে তা ব্রাশ দিয়ে বা ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপরও যদি এ সমস্যা থাকে, তবে পিসি ভালো কোনো কমপিউটার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে চেক করান।
সমস্যা: আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল কোর আই থ্রি ৩.০৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র্যাম, বায়োস্টার এইচ৫৫এইচডি মাদারবোর্ড, স্যাফায়ার এটিআই রাডেওন ৫৭৫০ মডেলের ১ গিগাবাইট ডিডিআর৩ গ্রাফিক্স কার্ড ও ৫০০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক। এতে আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ৩২ বিট ভার্সন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি। আমার পিসির মনিটর হলো আসুস এমএস২২৬এইচ এলইডি ২১.৫ ইঞ্চি। পিসির গ্রাফিক্স কার্ড, মাদারবোর্ড ও মনিটর সবই এইডিএমআই সমর্থন করে। মনিটরের সাথে দেয়া এইচডিএমআই ক্যাবলটি আমি গ্রাফিক্স কার্ড ও মনিটরের এইচডিএমআই পোর্টে সংযুক্ত করেছি। কিন্তু কমপিউটার চালু করার সময় মনিটরে HDMI NO SIGNAL লেখাটি ভেসে ওঠে। মনিটরের রেজ্যুলেশন ১৯২০ x ১০৮০ তে সেটা করা থাকলেও মনিটরের চারপাশে প্রায় ১ ইঞ্চি খালি স্থান থেকে যায়। কিন্তু গেম খেলার সময় ওই খালি স্থানটি আর থাকে না। উল্লেখ্য, আমার আগের গ্রাফিক্স কার্ডটি ছিল এক্সেফএক্স ৮৫০০, তখন মনিটরে এ সমস্যা দেখা দিত না। নতুন গ্রাফিক্স কার্ড কেনার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সমাধান: এএমডি গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য ইনস্টল করা গ্রাফিক্স ড্রাইভার এএমডি ভিশন ইঞ্জিন কন্ট্রোল সেন্টার রান করে সেখান থেকে মাই ডিজিটাল ফ্ল্যাট প্যানেল ট্যাব সিলেক্ট করে স্কেলিং অপশন সিলেক্ট করুন। তারপর ডানপাশের বক্সে থাকা সস্নাইডারটি মাউসের সাহায্যে নড়াচড়া করে ওভারস্ক্যান বা আন্ডারস্ক্যান করে দেখুন মনিটরের রেজ্যুলেশন পরিবর্তন হয় কি না। এখান থেকে মনিটরের অ্যাডজাস্টমেন্ট কন্ট্রোল করে স্ক্রিন জুড়ে ডিসপ্লে পাবেন। মনিটরে এইচটিএমআই নো সিগন্যাল লেখাটি ভেসে ওঠা কোনো সমস্যা নয়। পিসি চালু হওয়ার আগে মনিটর চালু হয়ে যায়, তাই এ লেখাটি প্রদর্শিত হয়।
সমস্যা: আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। আমার পিসির কনফিগারেশন এএমডি এথলন এক্সটু ৪২০০+, ২ গিগাবাইট ডিডিআর২, ৫০০ গিগাবাইট, এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০ জিটি। উইন্ডোজ সেভেনের সাথে ডিরেক্টএক্স থাকে শুনেছি। কিন্তু আমার পিসিতে ডিরেক্টএক্স কোনো ভার্সন ইনস্টল করা আছে তা বুঝব কিভাবে? পিসির ডিরেক্টএক্স ভার্সন দেখার কোনো উপায় আছে কি?
সমাধান: উইন্ডোজ সেভেন ডিরেক্টএক্স ১১ কম্প্যাটিবল, তাই তাতে শুধু ডিরেক্টএক্স ১১ ইনস্টল হবে। এক্সপির ক্ষেত্রে ডিরেক্টএক্স ৯ এবং ভিসতার ক্ষেত্রে ডিরেক্টএক্স ১০ ইনস্টল করা যায়। পিসিতে কোন ডিরেক্টএক্স ভার্সন ইনস্টল করা আছে তা দেখার জন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সার্চবারে dxdiag লিখে এন্টার চাপলে ডিরেক্টএক্স ডায়াগনোসিস টুলস নামে একটি উইন্ডো আসবে এবং এতে পিসির বিস্তারিত বর্ণনার পাশাপাশি ডিরেক্টএক্স ভার্সনের আদ্যোপান্ত দেখা যাবে।
সমস্যা: আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল ডুয়াল কোর ১.৮ গিগাহার্টজ, আসুস পি৫জিসি-এমএক্স, ১ গিগাবাইট, ৮০ গিগাবাইট ও এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৫০০জিটি। আমি উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করি। মাদারবোর্ড থেকে ২ চ্যানেল অডিও আউটপুট হলেও পিসি থেকে ৪ বা ৬ চ্যানেল অডিও আউটপুট সিলেক্ট করলেও শুধু সবুজ পোর্ট দিয়ে আউটপুট আসে, গোলাপি ও নীল পোর্ট দিয়ে আউটপুট আসে না। এটি হচ্ছে কেনো জানালে উপকৃত হব।
সমাধান: আপনার প্রশ্ন থেকে বোঝা যাচ্ছে সাউন্ড কার্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কম। মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইনভাবে ৫ থেকে ৮ চ্যানেলের সাউন্ড কার্ড দেয়া থাকতে পারে এবং সে অনুযায়ী মাদারবোর্ডের ব্যাক প্যানেলে ৩-৭টি পোর্ট থাকতে পারে। তার মানে এই নয় সবগুলো থেকেই আউটপুট পাওয়া যাবে। এদের মাঝে কিছু ইনপুট পোর্টও রয়েছে। গোলাপি পোর্টটি হচ্ছে মাইক্রোফোন ইনপুট পোর্ট এবং নীল পোর্টটি হচ্ছে লাইন-ইন পোর্ট, যাতে গিটার বা অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্ট যুক্ত করে সাউন্ড ইনপুট করা যায়। সবুজ পোর্টটি ফন্ট স্পিকারে, কালো পোর্টটি রেয়ার স্পিকারে এবং কমলা পোর্টটি ব্যবহার করা হয় সেন্টার স্পিকারে আউটপুট দেয়ার জন্য। সারাউন্ড রেয়ার স্পিকারের সংখ্যা বেশি হলে তার জন্য ব্যবহার করা হয় ধূসর বা ছাইরঙা পোর্টটি। ডিজিটাল সাউন্ড কার্ডের পেছনে ডিজিটাল আউটপুটের জন্য আলাদা পোর্ট থাকে। গোলাপি বা নীল পোর্ট দিয়ে কখনই সাউন্ড আউটপুট আসবে না, কারণ সেগুলো ইনপুট পোর্ট। সাউন্ড কার্ড সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিঙ্কের আর্টিকেল পড়ে দেখুন- http://en.wikipedia.org/wiki/Sound_card।
সমস্যা: আমি ডেল ইন্সপাইরন ব্র্যান্ডের নতুন একটি ল্যাপটপ কিনেছি। প্রসেসর কোর আই থ্রি, ২ গিগাবাইট র্যাম ও ৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমার ল্যাপটপ মোটামুটি ভালোই গরম হয়। আমার প্রশ্ন ল্যাপটপের জন্য কুলারের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?
সমাধান: ল্যাপটপ গরম হবেই। কারণ এতে অনেক ছোট জায়গায় চাপাচাপি করে ডিভাইসগুলো বা হার্ডওয়্যারগুলো লাগানো হয়েছে। এতে পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম এবং ভেন্টিলেশন সুবিধা থাকে না। ল্যাপটপ বেশি গরম হলে তার যন্ত্রাংশগুলো ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। তাই গরমের হাত থেকে বাঁচিয়ে ল্যাপটপের স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করা ভালো। ল্যাপটপের পাশ বা পেছন দিয়ে যেখানে কুলিং ফ্যান লাগানো থাকে এবং ভেতরের গরম বাতাস বের হওয়ার জন্য যে ছিদ্র দেয়া থাকে তা যেনো সব সময় খোলা থাকে। অনেকে বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন এবং বাতাস চলাচলের পথ আটকে ফেলেন। তাই ল্যাপটপের নিচে বই বা মোটা কিছু দিয়ে ল্যাপটপে কাজ করা ভালো। বাজারে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কুলার রয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা কিছু কম দামি ল্যাপটপ কুলারও পাওয়া যায়। ভালোমানের ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করা উচিত, তা না হলে ভালোর বদলে আরো খারাপ করে দেবে ল্যাপটপ। কারণ এসব কুলার ল্যাপটপ থেকে ইউএসবি পোর্টের সাহায্যে পাওয়ার নিয়ে কুলিং ফ্যান চালায়। তাই কুলার কেনার আগে পোর্ট ভালো করে দেখে নেবেন এবং তা চালু করে দেখে নেবেন ফ্যান ঠিকমতো ঘোরে কি না। বাজারের সেরা ল্যাপটপ কুলার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে বেলকিন, ভিশন, জিনিয়াস ইত্যাদি। কুলারগুলোর দাম ৫০০ থেকে ২০০০০ টাকার মতো হতে পারে। কুলিং ফ্যান ছাড়াও রয়েছে লিকুইড ক্রিস্টাল কুলিং সিস্টেম, কিন্তু তার দাম কিছুটা বেশি।
সমস্যা: এলসিডি মনিটরের ক্ষেত্রে রেসপন্স টাইম কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তা কতটুকু হলে ভালো হয়? আমি ২২ ইঞ্চি আকারের একটি এলইডি এলসিডি মনিটর কিনতে চাইছি। কোন মনিটরটি ভালো হবে?
সমাধান: সাধারণ ইউজারদের জন্য রেসপন্স টাইম ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। রেসপন্স টাইম যত কম হবে তত ভালো। সাধারণ ইউজারদের জন্য তা ৫ মিলিসেকেন্ড হলে ভালো। গেমারদের জন্য তা ২ মিলিসেকেন্ড বা তার চেয়ে কম হলে ভালো হয়। কারণ অ্যাকশন গেম বা শুটিং গেম খেলার সময় ঘোস্টিং ইফেক্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রেসপন্স টাইমের প্রয়োজন পড়ে। এক দৃশ্য থেকে আরেক দৃশ্য যখন খুব দ্রম্নত বদলে যায় তখন আগের দৃশ্যের ছায়া পরবর্তী দৃশ্যে দেখা দেয় এবং তা আবছা কালো দেখায়। গেমারদের ক্ষেত্রে তা গেম খেলার সময় সমস্যার সৃষ্টি করে। বাজারের বেশির ভাগ মনিটরে এখন রেসপন্স টাইম ৫ মিলিসেকেন্ডের কম দেয়া হচ্ছে। মনিটরের ব্র্যান্ড ও ডিজাইন যেটি পছন্দ হয় সেটি কিনে নিতে পারেন। কারণ প্রতিযোগিতার এ বাজারে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ডিসপ্লেতে রাখা মনিটরগুলোর পিকচার কোয়ালিটি বা ভিডিও প্লেব্যাক দেখে যেটি আপনার কাছে ভালো লাগে সেটি কিনে নিতে পারেন।
সমস্যা: কিছুদিন আগে আমার গুগল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছিল এবং আমি তাতে ঢুকতে পারছিলাম না। কিন্তু সেকেন্ডারি মেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে গুগলের সাহায্যে আমি আবার আমার গুগল অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি ৯ অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছি এবং তা শক্তিশালী ছিল। কিন্তু তারপরও কিভাবে তা হ্যাক হলো। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য কি করা যায়? পাসওয়ার্ড কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায়?
সমাধান: মেইল অ্যাকাউন্ট ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগছেন। এ ব্যাপারটি বেড়ে গেছে, কারণ সবাই খুব সহজ পাসওয়ার্ড বা কমন কিছু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, যা সহজেই হ্যাকাররা অনুমান করতে পারে। অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং রোধ করার জন্য মেইল সার্ভিস বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কিছুটা তৎপর হয়েছে এবং কিছু নতুন সিকিউরিটি অপশন যোগ করছে সাদের সার্ভিসের সাথে। তাদের সিকিউরিটি সার্ভিসগুলো ব্যবহার করে কিছুটা সুরক্ষা পেতে পারেন। পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার জন্য কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- পাসওয়ার্ড ৮ অক্ষরের নিচে ব্যবহার না করা, ১০ অক্ষরের ওপরে হলে ভালো হয়, বড় হাতের অক্ষর ও ছোট হাতের অক্ষর মিলিয়ে পাসওয়ার্ড দেয়া ভালো, অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা ব্যবহার করে তা আরো জোরদার করা যায়, শুধু সংখ্যায় পাসওয়ার্ড না দেয়া, একই অক্ষর বা সংখ্যার পুনরাবৃত্তি না করা, অক্ষর ও সংখ্যার সাথে সিম্বল ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড অনেক শক্তিশালী হয়, নিজের নাম বা প্রিয়জনের নামে পাওয়ার্ড না দেয়া, কোনো ফোন নাম্বার বা জন্মদিনের তারিখ দিয়ে পাসওয়ার্ড না দেয়া।
সমস্যা: আমি পিসির ফোল্ডার অপশনে গিয়ে হিডেন ফাইল শো করার কমান্ড দেয়া সত্ত্বেও তা দেখা যাচ্ছে না। খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি। কারণ আমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট রয়েছে, যা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি ভাইরাস সমস্যা না অন্য কিছু? আমি উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করি।
সমাধান: এক্সপি ইউজারদের এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকেই এ সমস্যার জন্য মেইল করেছেন। এ সমস্যা দূর করা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয় এবং খুব সহজেই কোনো থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াই তা ঠিক করা যাবে। এ সমস্যার সমাধান দু’ভাবে করা যায়। প্রথমত, মেনুবারের ফোল্ডার অপশন থেকে ভিউ ট্যাবে গিয়ে Display the contents of system folders চেকবক্সটি মার্ক করে দিন, তারপর Hidden files and folders-এর রেডিও বাটন মার্ক করুন এবং Hide file extensions for known file types চেকবক্সটি থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন। ওকে করে বের হয়ে আসুন। তারপর দেখুন হিডেন ফাইল দেখা যাচ্ছে কি না। রেজিস্ট্রি এডিট করেও এ সমস্যা দূর করা যায়। রেজিস্ট্রি এডিট করার জন্য স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে রান অপশনে গিয়ে regedit টাইপ করে এন্টার চাপলে একটি উইন্ডো আসবে। এরপর নেভিগেট করুন HKEY_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\Current Version\Explorer\Advanced\Hidden। Hidden-এর ওপরে ডাবল ক্লিক করে Value Data 1 লিখে ওকে করে দিন। এরপর দেখুন সব ঠিক হয়ে গেছে। প্রয়োজনে একবার পিসি রিস্টার্ট দিয়ে নিন। ভাইরাসজনিত সমস্যা এটি, তাই ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। আপনার পিসির রেজিস্ট্রি এডিট করা অপশনও যদি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে এ পদ্ধতি কাজ করবে না। যদি ভাইরাসে রেজিস্ট্রি এডিট ডিজ্যাবল হয়ে যায়, তবে তা আবার এনাবল করার জন্য রিমুভ রেস্ট্রিকশন টুল নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। ভাইরাসের কারণে ডিজ্যাবল হয়ে যাওয়া অনেক অপশন এ ছোট্ট প্রোগ্রামের সাহায্যে এনাবল করা যায়। ইন্টারনেটে সার্চ করে নামিয়ে নিন এ টুলটি এবং ভালোভাবে পিসিতে সংরক্ষণ করে রাখুন।
সমস্যা: আমার পিসির কনফিগারেশন কোর আই থ্রি প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যাম, এ এমডি ৬৭৭০ গ্রাফিক্স কার্ড, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি। আমি নতুন বের হওয়া অ্যামাজিং স্পাইডারম্যান গেমটি ইনস্টল করেছি কিন্তু তাতে সমস্যা হচ্ছে। গেমটি ভালো মতোই রান করে। কিন্তু মাঝে মাঝে হ্যাং করে। গেমটি চালানোর জন্য সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট যা চাওয়া হয়েছে তার চেয়ে আমার পিসির কনফিগারেশন আরো ভালো। তারপরও গেমটি কেনো ঠিকমতো চলছে না তা বুঝতে পারছি না। মাঝে মাঝে গেম চলার সময় আটকে যায়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় এ সমস্যা দেখা দেয় যখন গেমের মিশন লোড হয়। এটি কি আমার পিসির সমস্যা নাকি গেমের সমস্যা?
সমাধান: অ্যামাজিং স্পাইডারম্যান গেমটিতে কিছু বাগ রয়েছে। গেমটি সম্পর্কে অনেকেই জানিয়েছেন। খুব শিগগিরই গেমটির এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি আপডেট প্যাচ ছাড়া হবে। সেটি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিলে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। আপাতত গেমটি চালু করার আগে তা উইন্ডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক ৩ সাপোর্টে খেলুন। গেম চালু করে কন্ট্রোল+অল্টার+ডিলিট কী চেপে টাস্ক ম্যানেজার এনে প্রসেস ট্যাব থেকে গেমটি সিলেক্ট করে তার প্রায়োরিটি লো করে দিন। কারণ এটি প্রসেসর শতকরা ১০০ ভাগ ব্যবহার করে, যা পিসি হ্যাং করার কারণ। এটি দুটি কাজ করলে আগের তুলনায় গেম হ্যাং করা অনেক কমে যাবে। প্যাচ না আসা পর্যন্ত এমনিভাবে গেমটি চালাতে হবে।
Hey! Amazing work. With full of knowledge.Our Team resolve any glitches occurring while utilizing the software. Looking for QuickBooks Customer Service Contact us 8555507546 .Our experts will assist you to fulfill your accounting needs. The solutions are accurate and time-saving.
ReplyDeleteকম্পিউটারের কিছু সমস্যা এবং সমাধান [By: Shuvodip Das] >>>>> Download Now
ReplyDelete>>>>> Download Full
কম্পিউটারের কিছু সমস্যা এবং সমাধান [By: Shuvodip Das] >>>>> Download LINK
>>>>> Download Now
কম্পিউটারের কিছু সমস্যা এবং সমাধান [By: Shuvodip Das] >>>>> Download Full
>>>>> Download LINK MX